প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কোনো দল আসুক না আসুক, ভোটার আসলেই নির্বাচন সফল হবে।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে শনিবার সকালে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে ডিসি-এসপিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। সেজন্য আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, সামনের নির্বাচনেও আপনারা দলীয় চিন্তাভাবনার উর্ধ্বে কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জন করবেন।
‘জনগণকে দেখাতে হবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এটুকু দেখাতে পারলে.. কে আসলো কে আসলো না, মানুষ ভোট দিতে পারলেই আমি মনে করি আপেক্ষিকভাবে বড় সফলতা হয়ে যাবে।’
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, ‘আপনাদের সহায়তায়, আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে এটিই প্রত্যাশা।’
দুই দফায় মাঠ প্রশাসনের মোট ২২০জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দুটি করে চারটি ব্যাচের দুই দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতি ধাপে ৩২ জন ডিসি, ৩২ এসপি, ৪ জন করে বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাসহ অন্যরা প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বেশ কিছু আইন ও বিধিমালার সংস্কার হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ কর্মকর্তারাও নতুন। তাই নির্বাচনের সামগ্রিক আইনকানুনের ধারণা দিতেই মূলত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
এসএইচ-০৮/১৪/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)