দেশব্যাপী অবরোধ ৮ ও ৯ নভেম্বর

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার বিকেলে টানা দুই দিনের অবরোধ শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষে একদিন বিরতি দিয়ে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে তৃতীয় দফার এ অবরোধ।

‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অবরোধ কর্মসূচিতে বিরতি দেওয়া হয়েছে। সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ও যুগপৎভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে।

এর আগে এক বিবৃতিতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেন, এলডিপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করুন।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী আন্তরিকতার সঙ্গে অবরোধ সফলভাবে পালন করায় দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মেহেরবানি করে আগামী দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের সঙ্গে কর্মসূচিগুলো সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটু কষ্ট করে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান গাড়িগুলো রাস্তায় বের না করে আমাদের কর্মসূচি সফল করার জন্য সাহায্য করুন।

এর আগে ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে এই সর্বাত্মক অবরোধ পালন করে বিএনপি-েজামায়াতসহ বেশ কয়েকটি দল।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর দলটি গত রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। এর পর এক দিনের বিরতি দিয়ে আবার দুই দিনের অবরোধ ঘোষণা করা হলো।

এনএইচ-১৩/০৬/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)