আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসরাইল বাহিনী যে কায়দায় গাজায় হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে একই কায়দায় বিএনপি পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরা কী মানুষ? এরা কী রাজনৈতিক কর্মী? এদের নেতারা কী রাজনৈতিক দলের নেতা? বিএনপি হায়েনার চেয়েও হিংস্র।
বুধবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে লড়তে হবে। ১৯৭১ সালে যেভাবে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে পাক-বাহিনীকে প্রতিহত করা হয়েছে। তেমনিভাবে এখন তাদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।
হাসান মাহমুদ বলেন, ২৮ অক্টোবর তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে আক্রমণ করেছে। পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুঁড়িয়েছে এবং নার্সদের অপদস্ত করেছে। একজন পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ৩২ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না, তারা সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা জানি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
গত ২৮ তারিখ বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে তাদের সমাবেশ মাত্র ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে। তারা নাকি আবার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে! তাদের রাজনীতি হলো অপরাধনীতি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাহায্য করেছে। কর্মসূচিগুলোতে কড়া নিরাপত্তা দিয়েছে, তবুও তারা হিংস্র আচরণ দেখিয়েছে।
এআর-০৪/০৭/১১ (জাতীয় ডেস্ক)