জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয়ের বক্তব্য নিয়ে ‘আওয়ামী লীগপন্থী’ ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ‘বিএনপিপন্থী’ ১৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা এই প্রতিবাদ জানান।
গত বৃহস্পতিবার ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সহিংসতার ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের বক্তব্য তথ্যনির্ভর নয়, এমন বক্তব্য অপরাধীদের নৃশংস কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহিত করবে। ওই বক্তব্য তথ্যনির্ভর না হওয়ায় এটি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।
পাল্টাবিবৃতিতে ১৮১ জন নাগরিক বলেছেন, ‘আওয়ামী বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি আমাদের নজরে এসেছে। ওই বিবৃতি সম্পূর্ণ একপেশে। বিবৃতি পাঠ করে আমাদের মনে হয়েছে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনাবলি সম্পর্কে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করা এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সরকার ও পুলিশের পক্ষে একটি নির্লজ্জ সাফাই তুলে ধরা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৮ অক্টোবর সরকারের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিএনপির মহাসমাবেশকে পণ্ড করে দেয়। নিজেদের পছন্দমতো ব্যবস্থায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি ‘সাজানো নির্বাচন’ করার যে নীলনকশা ছিল, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা ঘটিয়ে তা পূরণ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষণে তা-ই উঠে এসেছে।
বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘আমরা আশা করি, ক্ষমতাসীনেরা দেশের নাজুক অবস্থা উপলব্ধি করবে এবং বৃহত্তর স্বার্থে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করবে।’
এই বিবৃতিদাতারা হলেন অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুর রশিদ সরকার, বিজন কান্তি সরকার, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, রেজোয়ান হোসেন সিদ্দিকী, আবদুল হাই শিকদার, মোস্তফা কামাল মজুমদার, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন, এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
এসএইচ-০৩/১৩/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)