ভরাডুবি হবে জেনেই নির্বাচন প্রতিহতের অপচেষ্টায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যেভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো গুপ্তস্থান থেকে অনলাইনে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে, এরপর তো মানুষের কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগ তাদের নাই। তারা জানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের ভরাডুবি হবে। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক আয়োজন ‘রূপসী বাংলা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করছে, বিএনপিনেতা রিজভী অজ্ঞাত স্থান থেকে বলছেন, তারা নির্বাচন হতে দেবে না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন ২০১৪ সালেও নির্বাচন প্রতিহত করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল, তারা পারে নাই। ২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিল, সেটিও পারে নাই। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ এবং ২০১৮ তুলনায় অনেক কম।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যেভাবে বাস, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে এবং মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসীদের কাজ। বিএনপি এখন আসলে রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে তো মামলা নাই, সবার বিরুদ্ধে তো ওয়ারেন্ট নাই, কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ তারা ২৮ অক্টোবর যে অপরাধ করেছে এবং এর পরবর্তী প্রতিটি দিন যে অপরাধ সংঘঠিত করে যাচ্ছে এ জন্য জনগণের কাছে চেহারা দেখানোর সাহসটা তাদের নাই, প্রকাশ্যে আসার সেই সাহসটা নাই।’

দুটি কারণে আজকে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি হচ্ছে গাজায় ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে, সেটির প্রতিবাদ সারা পৃথিবী জুড়ে হয়েছে, এমনকি অনেক ইহুদিও সেটির প্রতিবাদ করেছে, শুধু বিএনপি এবং জামাত সেটির প্রতিবাদ করে নাই। এ দেশের সমস্ত মুসলমানকে তারা আহত করেছে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে। আর অপরটি হলো, ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে তারা নিরীহ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল, এম্বুলেন্স, গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা পরিচালনা করছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে।’

‘নির্বাচনে অংশ নেবে অন্যান্য দল ও বিএনপির অনেক নেতা’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তাদের সাথে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।’

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবে।’

এআর-০৪/১৬/১১ (জাতীয় ডেস্ক)