যৌন অত্যাচারে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা

নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীর অতিরিক্ত যৌন চাহিদা থাকায় এবং অতিমাত্রায় যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেছে স্ত্রী। যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এমন অত্যাচার করে আসছিলো ওই স্বামী।

শনিবার ভোরে উপজেলার মশিন্দা মাছপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। মধ্য রাতে কোন এক সময় স্ত্রী রুমি খাতুন স্বামী কাবিল হোসেন (২২) এর পুরুষাঙ্গ কর্তন করলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুন (১৭)কে আটক করেছে । নিহত কাবিল বিশ্বাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ধানকুড়িয়া গ্রামের নরশেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। রুমি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর মেয়ে। রুমি খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৪ মাস পূর্বে কাবিল হোসেনের সাথে ও রুমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কাবিল হোসেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত দুই সপ্তাহ আগে রুমি খাতুন তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।

শুক্রবার কাবিল হোসেন মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে আসেন। রাতে পুনরায় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যৌন নির্যাতন শুরু করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর একপর্যায়ে ভোরে স্ত্রী রুমি খাতুন ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামী কাবিল বিশ্বাসের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই কাবিল হোসেনের মৃত্যু হয়। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

এব্যাপরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলা হয়েছে।

এসএইচ-৩৩/১২/১৯ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)