নাটোরে ছাত্রলীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিল বিরোধীরা

নৌকা প্রতীকের প্রচারণা করার অপরাধে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. কামরুল সরকারের বাম হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আদেশ আলীর কর্মীরা।

কামরুল সরকার উপজেলার শেরকোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রিয়া সম্পাদক। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকের পক্ষে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা করছিলেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উপজেলার নিংগইন-জোড়মল্লিাকা ব্রিজ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগ নেতা মো. কামরুল সরকার শেরকোল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আফজাল সরকারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌকার সমর্থক সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আদেশ আলীর কর্মী পলক এর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ছাত্রলীগ নেতা মো. কামরুল সরকারের ওপর। হামলাকারীরা তার বাম হাত ও পা ভেঙে দেয়। পরে কামরুল সরকারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাশেদুল ইসলাম।

আহত ছাত্রলীগ নেতা কামরুল সরকার জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নৌকার প্রচারণা করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আদেশ আলীর কর্মীরা তার হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে।

আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ঘনিষ্ঠ সহচর আদেশ আলী সদ্য আ.লীগে যোগদান করে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দলের জন্য নিবেদিত একজন ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর এই হামলা করেছে। এর তীব্র ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

এ বিষয়ে আদেশ আলী বলেন, তিনি এ হামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক।

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নেয়ামুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।

বিএ-১৬/১৯-০২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)