নাটোরে চাঁদার জন্য শ্রমিককে পেটালেন যুবলীগ নেতা

নাটোরে চাঁদা না দেয়ায় এক পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করেছে যুবলীগ নেতা ও তার লোকজন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। ফলে প্রাণভয়ে শঙ্কিত আছে ওই পরিবহন শ্রমিক ও তার পরিবার।

নাটোর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, শহরের উত্তর পটুয়াপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন আলীর ছেলে বাসের হেলপার কোরবান আলীর কাছে ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলী ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শনিবার রাতে মিঠুন আলীর নেতৃত্বে কোরবানকে ধরে নিয়ে যান মিঠুনের সহযোগী স্বপ্ন, তোতা, হাসান ও রিপন।

পরে মিঠুনের অফিসে আবারও ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সেখানেও চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে কোরবানকে গুরুতর জখম করা হয়। সেই সঙ্গে কোরবানের পকেটে থাকা তিন হাজার টাকা কেড়ে নেয়া হয়।

মারধরের সময় চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে কোরবানকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরদিন রোববার কোরবান যুবলীগ নেতা মিঠুনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড করেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, মারধরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোরবান আলী বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ, গাড়ির হেলপারি করে সংসার চালাই। চাঁদা না দেয়ায় আমাকে মারধর করেছেন যুবলীগ নেতা মিঠুন ও তার সহযোগীরা। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মিঠুন আলী বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে ওই কাউন্সিলরের পরামর্শে কোরবান আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাকে কে মারধর করেছে তা আমি জানি না।

বিএ-১১/১৬-০৯ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)