হাঁটুপানি মাড়িয়ে এসে ক্লাস করলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতুনামা মধ্যচর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টি অবশেষে সংস্কার করা হয়েছে। ১১ বছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলটিতে আবার আগের মতো স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। তবে ক্লাসে আসতে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ সেই টিনের ঘরটি সংস্কার করা হয়েছে। মেঝে মাটি দিয়ে উঁচু করা হয়েছে। ঘরটিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর দুটি ব্যবহার হচ্ছে ক্লাসরুম হিসেবে আর একটি করা হয়েছে শিক্ষকদের অফিসরুম। স্কুলের পাশে বসানো হয়েছে একটি টয়লেট। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে টিউবওয়েল।

এর আগে প্রাথমিক এই স্কুলটির নাজুক অবস্থা তুলে ধরে প্রতিবেদন ছাপানো হয় জাগোনিউজ২৪.কম-এ। এর পরপর বিষয়টি নজরে আসে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

স্কুলে আসতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেঘনা, নাজনীন, মরিয়ম, পারভেজ, আরিফ বাদশা, শাহিনুরসহ অনেকেই। তাদের দাবি, বন্যা-কবলিত এ এলাকার স্কুলটির যেন দ্রুত উন্নয়ন হয়। কেননা স্কুলে আসার কষ্ট তাদের দীর্ঘদিনের। নৌকায় করে কিংবা পানিতে ভিজে স্কুলে আসতে হয় তাদের। স্কুলে আসা-যাওয়ার রাস্তাটিই এখন তাদের প্রথম চাওয়া।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লোপা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্কুলটি সংস্কার করা হয়েছে। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথমদিন ক্লাসও হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলটি এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে বছরের ছয় মাস পানি না পেরিয়ে স্কুলে আসা সম্ভব নয়। এবার এ স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৬ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। আশা করছি প্রত্যেকে ভালো করবে। তবে স্কুলে যাতায়াতের কষ্ট শুধু শিক্ষার্থীদের তা, শিক্ষকদেরও একই ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এসএইচ-০৯/১২/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)