বাজুস রাজশাহী জেলা শাখায় নির্বাচিত হলেন যারা

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) রাজশাহী জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২২-২০২৪) অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি)। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়।

নির্বাচনে মোট ২১জন পরিচালক পদের জন্য দুইটি প্যানেলে ২১ জন করে ৪২ জন এবং ও এককভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ জন মিলে মোট ৪৩ জন প্রার্থী পরিচালক পদের জন্য প্রতিন্দ্বিতা করেন।

এর মধ্যে পরিচালক পদে মোট ২১ জন নির্বাচিত হন। ভোট গণনা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার সরকার ফলাফল ঘোষণা করেন। সঙ্গে ছিলেন সদস্য সাইফুল ইসলাম ও এসএম হাশেম।

এতে ডাবলু-মনীষ-রায়হান পরিষদ থেকে মোট ১৬ জন পরিচালক পদে নির্বাচিত হন। এই প্যানেলে নির্বাচিতদের মধ্যে ৩৪৫ ভোট পেয়ে প্রথম হন রায়হান, ৩০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন শফিকুল ইসলাম ডাবলু, ২৯৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন রনি চন্দ্র মন্ডল, ২৯৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন সামিউল ইসলাম সুইট, ২৯২ ভোট পেয়ে পঞ্চম হন ইসলাম, ২৭৯ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ হন মণীষ রায়।

এছাড়া একই প্যানেল থেকে ২৭৭ ভোট পেয়ে সপ্তম হন মাইনুল হোসেন, ২৭৬ ভোট পেয়ে অস্টম হন রবিন কুমার সরকার, ২৭২ ভোট পেয়ে নবম হন তহিদুল ইসলাম তুহিন, ২৭১ ভোট পেয়ে দশম হন মেরাজুল ইসলাম, ২৫৯ ভোট পেয়ে ১১তম হন মানিক, ২৫৫ ভোট পেয়ে ১৩তম হন সজল চন্দ্র সরকার, ২৫৫ পেয়ে ১৪তম হন সাধন সরকার, ২৫৪ পেয়ে পনেরতম হন মনিরুল ইসলাম মনি, ২২৪ ভোট পেয়ে সতেরতম হন সেলিম হোসেন ও ২১৯ পেয়ে ঊনিশতম হন হাসান আলী।

এদিকে মোখলেছ-বিশু-অপু পরিষদ মোট নির্বাচিত হন পাঁচ জন। তারা হলেন ২৫৮ ভোট পেয়ে ১২তম হন আশরাফুল ইসলাম অপু, ২২৬ পেয়ে ষোলতম হন আমিনুর রহমান আমিন, ২২৩ পেয়ে আঠারতম হন সনজিত সরকার, ২১৭ ভোট পেয়ে বিশতম হন সুকুমার প্রামাণিক বিশু ও ২০৮ ভোট পেয়ে একুশতম হন মোখলেছুর রহমান।

এই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টায় তিনি ফলাফল ঘোষণা করেন। সে সময়ে কোনো প্রকার হট্টগোল হয়নি। ফলাফল বিজয়ী ও পরাজিত সবাই মেনে নিয়েছেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহীতে বাজুসের এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৫৬ জন। এর মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫৫ জন। এর মধ্যে ভোট দেন ৪৫০ জন। মোট আটটি বুথে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন।

এলএস- ০২/২০/০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)