নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে: রাসিক মেয়র

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, দেশে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শহরের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে, গ্রাম পর্যায়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি লম্বা লাইন করে স্কুলে আসছে, আবার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে সুন্দর করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আগে থেকে মেয়েরা ডাক্তার হতো, ইঞ্জিনিয়ার হতো, ব্যারিস্টার হয়েছে, এখন মেয়েরা ডিসি হচ্ছে, সচিব হচ্ছে, এসপি হচ্ছে, র‌্যাব-বিজিবি, সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণ করছে। এমনকি হেলিকপ্টার চালাচ্ছে, দেশের বাইরে গিয়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোতে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের মেয়েরা দায়িত্ব পালন করছেন। এইটাই আমাদের দরকার ছিল। সেই কাজটি মাত্র ১৫ বছরে করে দেখালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজশাহীর সরকারি প্রমথনাথ (পি.এন) উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও মেধা পুরস্কার বিতরণী-২০২৩ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, প্রায় একশ বছর আগে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত বলেছিলেন, মেয়েদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে দিতে হবে, বাকিটা তারা করে নিবে। তিনি যেটি বলেছিলেন সেটি করা হচ্ছে। মেয়েদের পুঁথিগত জ্ঞান ছাড়াও হাতেকলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের মেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে একটা মানুষের জীবন পরিপূর্ণ হয় না। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি তার সাংস্কৃতিক মেধা বিকাশ, সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে সচেতন করা এবং দেশ ও জাতির কল্যানে তাকে নিবেদিত প্রাণ করা-এসব কাজে উদ্বুদ্ধ করার কাজটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বাবা-মা করেন।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। উন্নয়ন এখন কোন কাল্পনিক বিষয় নয়। ছবিতেও দেখা যায়, যেখানে উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে গেলেও দেখা যায়। আমরা নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়েছে। আমি মেয়েদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তোমরা তোমাদের বাবা-মায়েদের অনুরোধ করবে, যখন ছুটি পাবে-তখন যেন ওই সমস্ত জায়গা তোমাদের ঘুরে দেখায়।

মেয়র আরো বলেন, নানা দিকে আমরা অনেক উন্নত হয়েছি। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন হয়েছে। আমরা আগে চেয়ে ভালো খাই, ভালো কাপড় পরি, ভালো মানের ঘরে বসবাস করা চেষ্টা করি। রাজশাহীতে আগে তেমন বহুতল ভবন ছিল না। গত ১৫ বছরে রাজশাহীতে ব্যাপকভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ হয়েছে এবং আরো অনেক হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির সামর্থ যে বৃদ্ধি পেয়েছে, এটি তার একটি সাক্ষ্য দেয়।

সরকারি প্রমথনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদ আরা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানমঞ্চে ছিলেন সরকারি প্রমথনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) আবুল হোসাইন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক (মর্নিং শাখা) আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছাত্রীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্য, আবৃত্তি সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এলএস-০১/০৮/০২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)