‘জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতি বাংলাদেশের’
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখানকার জীবন-জীবিকা ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে।
ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। বাড়ছে গরমের তীব্রতা বাড়ছে। কমছে শীত ও বৃষ্টি। পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ পরিণতি আরও খারাপ হবে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মহাগরীর হোটেল ওয়ারিশানে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ উদ্বেগজনক তথ্য জানানে হয়।
দ্য কার্টার সেন্টার এর সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি’ প্রকল্পের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এসিডি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম পায়েল এবং দ্য কার্টার সেন্টারের তথ্য বন্ধু সাবরিনা নাজ এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। আর বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পাল।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মী এবং নারীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা দুরূহ সেহেতু এর সাথে খাপখাইয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয় বৈঠকে। বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে এখন খরা, তাপপ্রবাহ, অনাবৃষ্টি, অতি বৃষ্টিতে ফসল উৎপাদনে এখনি সংকট দেখা দিয়েছে। তাই খরা রোধে ভুগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর তাগিদ দেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এবং একই লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতে লেখালেখিরও আশ্বাস দেন।
এদিকে বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রবন্ধে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইতোমধ্যে হিমালয় অঞ্চলের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্য বাংলাদেশের ২০ শতাংশ এলাকা ডুবে যাবে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৫৩ সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে বলেও বর্তমানে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া নারীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বৈষম্যমূলক প্রভাব সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে খর্ব করে। কার্যকর জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে অবশ্যই লৈঙ্গিক বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগী হতে হবে বলে জানানো হয় এই বৈঠকে।
আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক সোনার দেশ সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার ড. আইনাল হক, বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শরীফ সুমন, ডেইলি স্টার সিনিয়র রিপোর্টার আনোয়ার আলী হিমু, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মো. আনিসুজ্জামান, জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মামুন অর রশিদ, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ সম্পাদক আহসান হাবীব অপু, ৭১ টেলিভিশনের স্টাফ করসপন্ডেটস রাশিদুল হক রুশো, সোনালী সংবাদ সিনিয়র রিপোর্টার কাজী নাজমুল ইসলাম, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর আবরার শাঈর, দৈনিক ইত্তেফাকের তানোর প্রতিনিধি অসীম কুমার সরকার, গোদাগাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি একে তোতা, দৈনিক সানশাইনের সরকার দুলাল মাহবুব, যায়যায় দিনের গোদাগাড়ী প্রতিনিধি আব্দুল বাতেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
এলএস-০১/১২/০২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)