ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেল বগুড়ার দইসহ চারটি পণ্য। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ২৬ জুনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২৬ জুন বগুড়ার দই ছাড়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়া অন্য পণ্যগুলো হলো শেরপুর জেলার তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম। এ নিয়ে দেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল।
ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ জুন দই ছাড়াও তিনটিকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি পণ্য প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই এগুলোর স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন এলে তা যাচাই-বাছাই করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর দুই মাস সময় দেওয়া, এ নিয়ে কারও কোনো আপত্তি আছে কিনা। আপত্তি না থাকলে ওই পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে দেওয়া হয়। বগুড়ার দইয়ের ক্ষেত্রেও কেউ কোনো আপত্তি তোলেনি। তাই এর স্বীকৃতি মিলেছে।
কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি।
এরপর একে একে স্বীকৃতি পায় ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলো বগুড়ার দইসহ চার পণ্য। এখন থেকে এসব পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।
এআর-০৪/০৫/০৭ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)