রাজশাহীর বাঘায় ৭৪৩ বোতল ফেনসিডিলসহ একজন ভারতীয় নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আলাইপুর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মো. চপল আলী (৩৫) ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার কাগমারি গ্রামের মো. জামরুল শেখ (৩৪)। তিনি পদ্মা নদী সাঁতরে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহীর বাঘায় এসেছিলেন।
রাজশাহী পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত থেকে আনা এসব ফেনসিডিল বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা ওই আমবাগানে গ্রহণ করবেন—এমন তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এ জন্য তাঁরা আমগাছে উঠে অপেক্ষা করছিলেন। ভারতীয় নাগরিক জামরুল দেশীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ফেনসিডিলের বস্তাগুলো হস্তান্তরের সময় ডিবি সদস্যরা তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় তিন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যান এবং দুজনকে আটক করেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদে জামরুল জানান, এর আগেও তিনি অনেকবার এমন বড় বড় চালান বাংলাদেশে এনেছেন। তিনি আরও জানান, বর্ষাকালে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ফেনসিডিল আনতে সুবিধা হয়। তিনি ফেনসিডিলের বস্তা টিউবের সঙ্গে বেঁধে সাঁতরে নদী পাড়ি দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে চপল জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি বাঘা থানার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর নামে বাঘা থানায় পাঁচটি মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় বাঘা থানায় মামলা করা হয়েছে।
রাজশাহী পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, আটক ভারতীয় নাগরিক জামরুল শেখ ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের একজন বাহক। পদ্মা নদীতে যখন পানি বাড়ে, তখন সাইকেলের টিউব পাম্প করে ফুলিয়ে তার সঙ্গে ফেনসিডিলের বস্তা জড়িয়ে ভাসিয়ে পদ্মা পার করেন। মাসে তিনটি পর্যন্ত চালান তিনি বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এক চালানোর জন্য তিনি ফেনসিডিলের মালিকের কাছ থেকে ভারতীয় ১২ হাজার রুপি পারিশ্রমিক পান। বাংলাদেশের পাঁচ মাদক ব্যবসায়ী এই ফেনসিডিলের মালিক ছিলেন।
এআর-০৭/০৫/০৭ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)