হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালেন স্বামী

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সীমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে তার স্বামী পালিয়ে গেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সীমা আক্তার উপজেলার দিয়াড় বাঘইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান রাজেশের স্ত্রী।

সীমার স্বজনদের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সীমার মামাতো ভাই মো. রনি হোসেন জানান, পাঁচ বছর আগে সীমা ও রাজেশের বিয়ে হয়েছে। তাদের চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায়ই সীমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো রাজেশ।

তিনি আরও জানান, রাজেশ একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। সীমা একজন ভালোমানের সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। সোমবার রাতে লোকমারফত খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে সীমাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সীমাকে তার স্বামী হাসপাতালে এনেছিলেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক যখন সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন তখন তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান রাজেশ। সীমার গলায় দড়ির দাগ রয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত সীমা আক্তারের বাবা ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নূর আলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কাবেরি শাহ জানান, সীমা আক্তারের গলায় দড়ির দাগ রয়েছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারূকী জানান, সীমার স্বামী মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বিএ-০৮/১১-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)