স্ত্রীকে হত্যা করে শশুরকে ফোন স্বামীর

পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের দুবলাচারা এলাকা থেকে রিক্তা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মৃতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে দুবলাচারা এলাকার আবুলের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।

রিক্তার বাবার বাড়ি ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামে। তার এক বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকলোভী স্বামী আবুলের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের দুবলাচারা এলাকার আবুলের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মেঝেতে পড়ে থাকা রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বাবা মিনহাজ উদ্দীন জানান, তিন বছর আগে আবুলের সঙ্গে রিক্তার বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে আবুল যৌতুক দাবি করতে থাকে। সম্প্রতি সে ব্যবসা করার কথা বলে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য রিক্তাকে চাপ দেয়। রিক্তা এতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।

তিনি অভিযোগ করেন, আবুল ফোন দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বলে আপনার মেয়ে অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আধঘণ্টা পর ফের ফোন দিয়ে বলে হাসপাতালে নেয়ার দরকার হবে না অসুস্থ বেশি দেখতে আসেন। তখন সেখানে গিয়ে দেখেন রিক্তা মারা গেছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএ-১৭/১৮-১০ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)