পোশাক কর্মী কাকলী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফাইল ছবি

পাবনার চাঞ্চল্যকর পোশাক শ্রমিক কাকলী (৩০) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন ইকবাল হোসেন (৪৪) ও আজিম হোসেন (৪৫)। আজিম উদ্দিনের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার বনগ্রামে। বাবার নাম নিজাম উদ্দিন।

তার বন্ধু ইকবাল হোসেনের বাড়ি ঢাকার নবীনগরে। বাবার নাম মৃত আনোয়ার হোসেন।

অপরদিকে নিহত কাকলী খাতুনের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে। তিনি ওই গ্রামের জলিল সরদারের মেয়ে, ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসামি ইকবাল ও আজিম ঢাকা থেকে কাকলীকে পাবনার সুজানগরে নিয়ে আসে।

এরপর রাতে উপজেলার রামজীবনপুর মাঠের একটি নার্সারির মধ্যে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রওশন মিয়া ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং আসামি অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা লিপিবদ্ধ করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ মোবাইল কল ট্র্যাকিং করে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই রওশন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে আজ এই রায় (মৃত্যুদণ্ড) দেন। রায়ে ৩ আসামির মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

মামলায় সরকার পক্ষে আইনজীবি ছিলেন পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব।

অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম ও কাজি মকবুল হোসেন।

বিএ-২১/২০-১১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)