নিরাপত্তা চেয়ে এলাকাছাড়া আ.লীগ নেতার পরিবারের আকুতি

পাবনায় হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী সংঘাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ করেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার। জীবনের নিরাপত্তা ও মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।

সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলমের পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুল আলমের মেয়ে মেহনাজ পারভিন বলেন, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর হেমায়েতপুর ইউপির নাজিরপুর গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী বৈঠকে শামীম নামের এক যুবক নিহত হন। শামীম ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধুর সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনায় কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে হত্যার জন্য আমার বাবা মাহবুবুল আলমকে জড়িত বলে প্রচার করে। এক পর্যায়ে বাবাকে হত্যার উদ্দেশে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। সন্ত্রাসীরা বাবাকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, জমির কাগজ, বন্দুকের লাইসেন্স লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির নারী সদস্যদেরও তারা মারপিট করে।

মেহনাজ আরও বলেন, শামীম হত্যাকাণ্ডে আমার বাবা জড়িত নন, নিহত শামীমের বাবাও তা পুলিশ প্রশাসন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স কেফ জানিয়েছেন। মঞ্জুরুল ইসলাম রাজনৈতিক হীন স্বার্থে বাবার নাম হত্যা মামলায় জড়িয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একে এম মাহবুবুল আলমের স্ত্রী সালমা সুলতানা বলেন, আমার স্বামীকে তারা যেখানে পাবে সেখানেই হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। মঞ্জুরুল ইসলাম মধুর সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্মের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করায় তারা আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। আমি আমার তিন মেয়েকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। আমরা জীবনের নিরাপত্তা চাই।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী সংঘাতে হত্যাকাণ্ডের পর মাহবুবুল আলমের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মাহবুবুল আলমের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এসএইচ-১৯/২৪/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)