পাবনার ঈশ্বরদীতে এক জামায়াত নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুসহ ১১ সাংসদ। এ নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
বুধবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজমের বাড়িতে এ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১১ জন সাংসদ ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক বুধবার সকালে ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। তিনি প্রকল্প এলাকার ইউনিট-১ ও ২ পরিদর্শন করেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নেতৃত্বে প্রকল্প পরিদর্শনে যোগ দেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস, শাহিন আক্তার, খালেদা খানম, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, বাসন্তী চাকমা, শামসুন নাহার, নার্গিস রহমান, মনিরা সুলতানা, নাদিরা ইয়াসমিন, রত্না আহমেদ, সালমা চৌধুরী, সেলিনা ইসলাম ও ডরথী রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পরিদর্শনে শেষে ঈশ্বরদী পৌর শহরের ইসলামপুর (ভূতেরগাড়ি) এলাকায় আরআরপি শিল্প গ্রুপের অন্যতম মালিক ও ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজমের বাসভবনে যান তারা। সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম শেষে ফেরার সময় আরআরপি ফিডমিলের আঙিনায় একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।
তবে ওই জামায়াত নেতার স্বজনরা জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার তাদের আত্মীয়। আর ডেপুটি স্পিকার এ বিষয়ে বলেন, তাদের খাবারের আয়োজন করার দায়িত্ব ছিল স্থানীয় এমপির। এ বিষয়ে তিনিই ভালো জানেন।
গোলাম আজমের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। এসব অনুষ্ঠানে এমপি, মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজন আসতেই পারেন। এতে দোষের কিছু নেই।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আরআরপি গ্রুপের মালিক গোলাম আজম, মনসুর আলম, মনিরুল আলম ও আজমত আলম চার ভাই। ডেপুটি স্পিকার আমন্ত্রিত ছিলেন বলে আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। তবে এটি কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল না। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা বিব্রতকর।
আরআরপি গ্রুপের পরিচালক ও গোলাম আজমের ভাতিজা রফিকুল আলম বলেন, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক আমার মামা। আমাদের আমন্ত্রণে তিনিসহ অন্যান্য এমপি মহোদয়েরা আমাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন। তারা দুপুরে খাওয়া শেষে বিশ্রাম নিয়ে চলে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানি না। কিছু বলারও নেই।
এসএইচ-০৩/২৭/২৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)