বিয়ের আশ্বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ, লজ্জায় ধানক্ষেতে সন্তান প্রসব

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার অকয়ারি পাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে নবজাতক উদ্ধারের চারদিন পর শিশুটির মাকে খুঁজে পেয়েছে থানা পুলিশ। রোববার রাতে বোদা উপজেলার অকয়ারি পাড়া গ্রামে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে নবজাতকের মাকে খুঁজে পায় পুলিশ।

গত বুধবার রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘীর অকয়ারি পাড়ার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নবজাতক কন্যা শিশুকে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বোদা থানা পুলিশ ও সমাজসেবা অধিদপ্তর শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নিয়ে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে নবজাতক উদ্ধারের রহস্য অনুসন্ধানে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ, বেরিয়ে আসে নবজাতক জন্মের আসল রহস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর সাথে তার খালাতো ভাই আটোয়ারি উপজেলার গোপালজোত গ্রামের ললি মোহনের ছেলে ধনেশের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরমধ্যে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ধনেশ। একপর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বিষয়টি টের পান এবং ছেলে পক্ষকে জানান। কিন্তু ছেলেপক্ষ উল্টো ভীষণ ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর দরিদ্র বাবা হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে কারও কাছে যেতেও পারেনি। স্কুল বন্ধ এবং ধনেশের মেরে ফেলার হুমকির কারণে ওই কিশোরী এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। অবশেষে ২২ সেপ্টেম্বর সবার অগোচরে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে ওই কিশোরী একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেয়।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সময় নিউজকে জানান, নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালের স্কানু ওয়ার্ডে নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বর্তমানে নবজাতক সুস্থ রয়েছে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কিশোরীর বাবা তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এসএইচ-২৫/২৭/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)