গতির নেশায় বাইকে চড়া তিন কিশোরের মৃত্যু একসঙ্গে

ঈদের ছুটিতে বাইরে করে ঘুরতে গিয়ে লাশ হলো তিন কিশোর, যারা সম্পর্কে কাজিন।

হেলমেট ছাড়া এই বাইকে তিন কিশোর চড়ার পর বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে গাছে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সবাই।

ঈদের পর দিন বুধবার আনন্দ করতে বেরিয়ে এই পরিণতি হয় পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পখুরীডাঙা বালুঘাট এলাকায়।

বাইকে চালক ছাড়া একজন আরোহী তোলার সুযোগ আছে। আর যারাই এতে উঠবে, তারে সবার হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক। তবে নানা সময় দেখা গেছে, উৎসব পার্বণে বিশেষ করে কিশোররা এসব নিয়ম কানুনের ধার ধারে না। চালকের পেছনে আরও দুই জন আরোহী বসে উচ্চগতিতে বাইক চালায় তারা।

হেলমেট নিয়ে রাজধানীতে পুলিশের যে কড়াকড়ি, মফস্বলে সেটি নেই সেভাবে, ঈদের পরে তা থাকে না আরও।

পঞ্চগড়ে প্রাণ হারানো তিন কিশোর হলো, খালপাড়া জিয়াবাড়ি এলাকার পয়কাম ইসলামের ছেলে ১৬ বছরের নতুন, তারেক বিল্লালের ছেলে ১৫ বছরের শিশির ও একই এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে ১৬ বছরের আবু বক্কর সিদ্দীক।

এদের মধ্যে শিশিরের এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। বাকি দুই জন স্থানীয় স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।

শিশিরের আবদার মেটাতে তার পরিবার তাকে বাইক কিনে দিয়েছিল। আর সেটিই হলো কাল।

শিশির তার বন্ধুদেরকে নিয়ে প্রায়ই বাইকে করে বের হতো। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাস্তায় তার বাইকের গতি ছিল বেশি। আর কেউ হেলমেটও পরেনি।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া।

তিনি জানান, তিন বন্ধু মহারাজার দিঘীতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। মডেলহাট বাজার থেকে মজারাজা দিঘীতে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে তারা পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে ৷ পরে স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-২৪/০৪/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)