একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সারাজীবনের অর্জিত সম্বল হারাতে বসেছেন

গত ২৫ তারিখ রাতে রেডিও পদ্মা ৯৯.২ এফএম এর প্রধান অনুষ্ঠান প্রযোজক সোহান রেজা যিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তার বাড়ি নিয়ে বিপত্তির কথা লেখেন। তার ভাষ্য মতে, “রাত ১ টা ৩০ মিনিট। বাড়ির সামনের অংশটা পানিতে পড়ে গেলো।

যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি করে দেবার কথা বলছেন। সেখানে তাঁর নিযুক্ত কর্মকর্তাদের মাস্টার প্ল্যানের কারনে এ রাষ্ট্রের একজন সর্বোচ্চ সম্মানিত সন্তান। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁর সারাজীবনের অর্জিত সম্বল হারাতে বসেছেন!! শুধুমাত্র একজন প্রধানমন্ত্রী একা কি করবেন বলতে পারেন? কত দিক একা সামলাবেন তিনি?

এ রাষ্ট্রযন্ত্রের কারণে সেদিন একজন মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানানোর অনুরোধ করে গেছে দেখেছেন সবাই। কতটা কষ্টে আর ক্ষোভে সেটা করেছে। তাঁর বাবার কথা শুনে সেটাই মনে হলো!! কাল যদি আরেকটা এমন ঘটনা ঘটে তখন কি করবেন?

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সব অফিসারের কাছে গেছি, ইডি, পিডি, এক্সেন, পবার কর্মকর্তা, কেউ বাদ নেই। সবাই কাজটা করার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, পানি শুকালেই করে দিবেন!! কবে ভাই!! এবার বাড়িটা ভাঙার পর !!! খাল কাটতে গিয়ে নদী বানিয়ে ফেললে সেটা শুকাবেই বা কবে !!! এই যে ক্ষতি হলো এটার ক্ষতিপূরন টা কে দিবেন??”

উপরের লেখাগুলো একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের, একজন শিক্ষকের। ৭১ এ স্বাধীনতার লড়াইয়ে যে মানুষগুলো নিজের জীবন বিপন্ন করে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন।শরীরের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। সেই মানুষগুলোর স্বাধীনতা আজ বিপন্ন!!!

উন্নয়নের নামে খাল খননের কার্যক্রমের প্রভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার সদ্য নির্মিত বাড়ি আজ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু উদাসীন ও পরিকল্পনা বিহীন মানুষের অবহেলায় অবহেলিত হয়ে খালের পানিতে তলিয়ে বিলীন হবার পথে ! এত এত মানুষ যারা এ সকল প্রকল্পে, অধিদপ্তরে কর্মরত। তারা যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রাখতেন। তবে তাদের অদক্ষ কর্মকাণ্ড ও অবহেলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি খালের পানিতে তলিয়ে যাবার উপক্রমে যেত না।

তার এ স্ট্যাটাস দেবার প্রেক্ষিতে সাথে সাথেই পদক্ষেপ নেন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। তিনি সরেজমিনে সেখানে উপস্থিত থেকে পবার ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে জরুরী ভিত্তিতে কাজে নামার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, “যে রাষ্ট্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, সে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানিত সূর্যসন্তানের বাড়ি এমন অরক্ষিত অবস্থায় মেনে নেয়া যায়না। রিটেইনিং ওয়ালের ব্যবস্থা না করেই অপরিকল্পিত খননের মধ্যে দিয়ে পৌরবাসীর যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার অধিকার দিয়েছে। তাদের পাশে থাকতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।”

এসএইচ-২৩/২৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক))