রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারায় চঞ্চল কুমার (৪২) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল তার মৃত্যু হয়।

নিহত চঞ্চল কুমার বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মাস্টারপাড়া মহল্লার নরেন কুমারের ছেলে। মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে নিয়েছে পুলিশ।

হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চঞ্চল কুমারকে হাসপাতালে নেন স্বজনরা।

হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে তার মরদেহ।

তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, নিহত চঞ্চল স্থানীয় তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালামের অনুসারী ছিলেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এবারের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরোধী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরে এমপির সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে তাহেরপুর বাজার থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন চঞ্চল। এসময় এমপি এনামুল হবের সমর্থক সুমন, বিপ্লব ও মাসুদের নেতৃত্বে একদল লোক তার উপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে মারাত্মক যখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহাতায় তাকে এলাকার একটি ক্লিনিকে নেন স্বজনরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলেই তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি উপজেলার জামগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কেন্দ্র করে মারামারি হয়।

ওই সময় বিদ্যালয়টির শিক্ষক গুলবর আলীকে মারধর করে প্রতিপক্ষ চঞ্চল কুমারসহ অন্যরা। এরই জেরে শনিবার চঞ্চল কুমারের উপর হামলা হয়। হৃদরোগী হওয়ায় সামান্য মারধরেই তিনি মারা গিয়ে থাকতে পারেন।

এমপি সমর্থকদের হামলার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ধরতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এনিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএ-০১/০১-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)