রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে নিহত যুবলীগ কর্মী চঞ্চল কুমার সরকারের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। সোমবার তিনি নিহত চঞ্চল সরকারের বাড়িতে যান।
এসময় নিহতের স্বজনদের হাতে সহায়তার নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল কুমারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার দুপুরে ছুটিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন তাহেরপুর পৌর এলাকার মাস্টার পাড়ার মৃত নরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে চঞ্চল কুমার সরকার। সাড়ে তিন বছর বয়সী তার এক ছেলে রয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান চঞ্চল।
নিহত চঞ্চলের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন এনামুলনিহতের স্বজনদের ভাষ্য, নিহত চঞ্চল তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালামের অনুসারী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই মেয়র ও এমপি এনামুলের রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরেই এমপির সমর্থকরা এই হত্যাকণ্ড ঘটান। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন এমপি এনামুল হকের সমর্থক সুমন, বিপ্লব ও মাসুদের নেতৃত্বে পরিরল্পিত এই হামলা হয়।
এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে নিহত চঞ্চলের স্ত্রী পপি রানী সরকার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এজাহারনামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, মামলার তদারকিতে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রাজশাহীর জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। এসময় তিনি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। পরে তিনি নিহত চঞ্চল কুমার সরকারের বাড়িতে যান।
তার স্বজনদের হাতে সহায়তার ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এসময় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
বিএ-১৭/০৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)