রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

রাজশাহীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদেরের অপসারণ দাবি করেছেন সংক্ষুদ্ধ সাত প্রার্থী। রোববার যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আদেশের সার্টিফাইড কপি না পাওয়ার অভিযোগ করেন এরা। পরে রাত ৮টার দিকে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবে।

প্রার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক। যাচাই-বাছাইয়ে তারও প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়।

আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ করেন, ছোট খাটো ভুলত্রুটিতেই রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। আপীলের জন্য ওই দিনই তারা আদেশের সার্টিফাইড কপি চেয়ে আবেদন জমা দেন।

সোমবার সকালে যথারীতি প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যান। কিন্তু ওই আদেশের কপি দিতে গড়িমশি শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সেটি না দিয়েই দুপুরবেলা তিনি দপ্তর ত্যাগ করেন। এর আগে সার্টিফাইড কপি চাইতে গেলে নিজ দপ্তরে প্রার্থীদের সাথে অসদাচরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রার্থীতা আটকাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ট হয়ে নির্দেশ পালন করছেন। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এমন আচরণ-বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। ৎ

একই সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে দ্রুত তার অপসারণ চান সংক্ষুদ্ধরাা।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী-৩(পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী একেএম মতিউর রহমান মন্টু ও সতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান, রাজশাাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বাসদের প্রার্থী আলফাজ হোসেন, ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর মিলন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনরি প্রার্থী আবদুল গফুরের পক্ষে এএসএম আরিফ এবং রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদের পক্ষে আকবর হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহীর সংসদীয় ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৮ প্রার্থী। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৫৩ জন। এদের ৩০ জনের মনোনয়নপত্র গৃহিত হয়েছে। আর যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান ২৩ প্রার্থী। বাদপড়া প্রার্থীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপীলে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন।

তফসিল অনযায়ী, আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দে পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন প্রার্থীরাা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএ-২৩/০৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)