রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যায় ৯ জনের নামে মামলা

রাজশাহীর বাগমারা তাহেরপুর পৌর যুবলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের নেতা চঞ্চল কুমার (৪২) হত্যার দুইদিন পর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের ছোট ভাই অমল কুমার।

এদিকে মনোনয়ন বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ নেতা চঞ্চল কুমারের পরিবারের ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এছাড়া তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটক করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। তিনি নিহত চঞ্চলের স্ত্রী টপি রাণীকে এনাগ্রুপে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অপরদিকে নিহত চঞ্চল কুমারের পরিবারের অভিযোগ, পৌর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুর রহমান বিপ্লবসহ হত্যার সাথে জড়িতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ টালবাহনা শুরু করে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পৌর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান বিপ্লবকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করে। একারণেই মামলাটি থানায় করতে বিলম্ব হয়েছে বলে নিহতের ভাই দাবি করেন।

প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে থানায় মামলা নেয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

তাহেরপুর এলাকার লোকজন জানান, চঞ্চল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে বাগমারায় আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এলাকার লোকজন অবিলম্বে চঞ্চল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দারি জানান।

তবে গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম সান্টু, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে চঞ্চল হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের সময় তাহেরপুর পৌরসভা যুবলীগের সহসভাপতি চঞ্চল কুমার ছুরিকাঘাতে আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল চারটায় তার মৃত্যু হয়।

বিএ-২৫/০৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)