প্রস্রাব করার নাম করে দৌড়ে পালাল আসামি, তারপর…

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া আসামি হাবিল কাজীকে প্রায় ১০ঘন্টা পর আবারো গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোররাতে কয়েক স্থানে অভিযান শেষে গোল্লাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে হাতকড়াসহ আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ। এরআগে গত সোমবার দিবাগত রাতে থানা চত্বরে ঘটে ঘটনাটি। হাতকড়াসহ থানা থেকে আসামি পলানোর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দেখা দেয় তুমুল সমালোচনা।

জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলার তালন্দ ইউপি এলাকার মোহর সরকার পাড়া গ্রামের পিয়ার কাজীর পুত্র হাবিল কাজীকে স্ত্রীর অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আটক করেন থানার এসআই মুকবুল। আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হলে অসুস্থ্য ভাব দেখালে মেডিকেল নেওয়ার জন্য আসামি হাবিল কাজী থানা হেফাজত হতে বের করলে হাতকড়া পরা অবস্থায় সে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় তার দায়িত্বে ছিলেন এসআই রহিম। পরে পলাতক আসামী হাবিলকে ধরতে শুরু হয় পুলিশের অভিযান। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার ভোর রাতে গোল্লাপাড়া গ্রামের কামার পট্রি থেকে হাতকড়াসহ আসামি হাবিলকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ প্রশাসন।

ঘটনা সম্পর্কে গোল্লাপাড়া গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানান, ভোর রাতে অনেক পুলিশ ছোটাছুটি করছিল। পরে দেখি একজনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়। আসামি হাতকড়া কাটার জন্য কামারপট্রির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল এ সময় সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।

এদিকে হাবিলের আত্মীয় স্বজনরা জানান, তিনি তালন্দ ইউপির মোহর সরকারপাড়ার বাসিন্দা। সে একই ইউপির লালপুর গ্রামে বিয়ে করে। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন হাবিলের স্ত্রীর পরিবার।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাবিলকে আটক করে নিয়ে এসে থানায় বসে সালিশ দরবার। সালিশে হাবিলের ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এমন সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় হাবিল পালিয়ে যায়। রাতেও হাবিলের বাড়িতে পুলিশ এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করে।

এ নিয়ে তানোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, স্ত্রীর অভিযোগে হাবিলকে আটক করা হয়। সন্ধ্যার পর থানায় প্রবেশের সময় সে প্রস্রাব করবে বলে রাস্তায় পাশে গিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে আমরা রাতেই ধরে ফেলি। এটা তেমন কোনো বিষয় নয়। তাই এনিয়ে লেখালিখি না করারও অনুরোধ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বিএ-১৮/০৫-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)