রাজশাহীতে বিধি ভঙ্গের আরো দুই অভিযোগ বিএনপির

রাজশাহী-১ ও রাজশাহী-২ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের আরো দুটি অভিযোগ করেছে বিএনপি। তাতে পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারণায় বাধা ও কর্মীদের মারধর করে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার রাজশাহীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদেরের দপ্তর অভিযোগ দুটি দাখিল করেন দুই প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট।

এর আগে মঙ্গলবার এই দুই আসনে আরো দুটি আচরণবিভি ভঙ্গের অভিযোগ আনে বিএনপি। এছাড়া অপপ্রচারের অভিযোগ এনেছে নগর বিএনপি। তবে এখনো এনিয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতারা।

বুধবার একটি অভিযোগ দাখিল করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ওয়ালিউর রহমান । তিনি উল্লেখ করেন, নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার কেটে ফেলেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।

এছাড়া মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকার আইএফআইসি ব্যাংকের সামনে থেকে ধানের শীষ প্রতীকের ব্যানার খুলে সেখানে নৌকা প্রতীকের ব্যানার লাগিয়েছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।

অন্য অভিযোগে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ মকবুল হোসেন উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার দিবগত রাত ৯টার দিকে মোহনপুরের ধুরইল ইউনিয়নের মহব্বতপুর, মৌয়ের মোড়, পালসা বটতলা, রিফুজিপাড়া, পূর্বপাড়া ও খানপুর এলাকার মোড়ে মোড়ে টাঙানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে বস্তা ভর্তি করে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ।

ধুরইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোলেয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এতে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা। এলাকা ত্যাগ করার আগে মৌয়ের মোড়ের হোটেল ব্যবসায়ী বিএনপি সমর্থক শফিকুল ইসলাম মানিককে ব্যাপক মারধর করে নৌকার কর্মীরা।

এরপর রাত ১১টার দিকে মৌয়ের মোড়ে সাফি নামের এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় নৌকার সমর্থকরা। ওই সময় ধানের শীষের কর্মী-সর্মকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যায়। এ ঘটনার ধানের শীষের কর্মীরা আতঙ্কিত।

মিজানুর রহমান মিনুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ওয়ালিউল হক রানা বলেন, তারা একের পর এক অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু কোন অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা নির্বাচন কমিশন। এতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ড নেই জানিয়ে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান।

বিএনপির অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও রাজশাহী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার পারভেজ রায়হান বলেন, আগের অভিযোগগুলো তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর তদন্তকর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়াধীণ।

নির্বাচনে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। একই সাথে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধিমালা মেনে চলারও আহবান জানান।

বিএ-০৪/১২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)