রাজশাহীর ৪১ শতাংশ মাদক গ্রহণকারী এইচআইভি ঝুঁকিতে

রাজশাহীর ৪১ শতাংশ স্ইুয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারী এইচআইভি ঝুঁকিতে। এনজিও অর্থায়ন কিংবা সরকারী কর্মসূচি না নিলে ঝুঁকি আরো বাড়বে।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে এক অ্যাডভোকেসী সভায় এ তথ্য জানানো হয়। স্ইুয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারী এবং তাদের যৌনসঙ্গীদের এইচআইভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দফতরের বিভাগীয় পরিচালকের সম্মেলনে কক্ষে এই সভা আয়োজন করে আসক্ত পূনর্বাসন সংস্থা -আপস।

সভায় জানানো হয়, রাজশাহী জেলায় আপস এ পর্যন্ত মাত্র ৯২২ জন স্ইুয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারীকে সেবার আওতায় আনতে পেরেছে। শতকরা হিসেবে এটি মোট হিসেবের ৫৯ শতাংশ। কিন্তু নানান সীমাবদ্ধতায় সেবার বাইরে থেকে গেছে ৪১ শতাংশ হারে ৬৪২ জন। বাদপড়ারা কেবল নিজেরাই নন অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন।

আপস নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার পল্টুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির ছিলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জিত কুমার সাহা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপপরিচালক লুৎফর রহমান এবং রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোনারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।

আপস এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এসএম আব্দুল্লাহ আল রেজা মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে এইচআইভি পজিটিভ রোগী ৬ হাজার ৪৫৫জন। এবছরই নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮৬৯ জন। সর্বশেষ সিরোসারভিলেন্স অনুযায়ী, স্ইুয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে রাজশাহীতে হেপাটাইটিস-সি আক্রান্ত ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ।

২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে স্ইুয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৭ জন। অর্থায়ন সীমাবদ্ধতায় এদের সাড়ে ৯ হাজার জনকে সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আপাতত এই কার্যক্রম চলছে দাতা সংস্থাগুলোর অর্থায়নে।

আগামীতে অর্থায়ন না বাড়ালে কিংবা সরকারী কর্মসূচি না নিলে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এসব মাদকসেবী। ২০৩০ সালের মধ্যে এইচআইভি শূন্যের কোটায় নামানোর সরকারী উদ্যোগও ব্যহত হবে।

সভায় শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, সমাজসেবী, ডাক্তার, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারী কর্মকতা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।

বিএ-১৮/১৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)