রাজশাহীতে ভোটের মাঠে মেয়র পরিবার

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ছয়টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এই জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের। সে নির্বাচনে ভোটের মাঠে দিন-রাত ছুটে বেড়িয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।

একাদশ নির্বাচনেও তার ব্যাতিক্রম নয়। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে রাজশাহীর ছয়টি আসনে ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজশাহীকে বদলে দেয়ার রূপকার হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। তবে এবার ভোটের মাঠে যোগ হয়েছেন তার পরিবারের আরও দুই সদস্য।

ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন তার পত্মী বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেণী এবং জ্যেষ্ঠ কন্যা ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ডাঃ আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা। তারা দুইজনেই অবিরাম ভোটে মাঠে থেকে নৌকার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।

নৌকার এই তিন কান্ডারী ভোটের মাঠে তিনটি স্তরে কাজ করছেন। এর মধ্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাধারণ ভোটারসহ দলের নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করছেন। আর শাহীন আক্তার রেণী নারী ভোটেরদের এবং ডাঃ অর্ণা জামান তরুণ ভোটেদের নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছেন।

রাজশাহীতে ৬টি সংসদীয় আসনের সবকটিতেই বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ও শরিকদের এমপি হয়ে আছেন। ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আর একটি আসনে ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি। এবার নির্বাচনে এই ছয়টি আসনের এমপিদের মধ্যে ৫ জনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রাজশাহী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়েন উদ্দিন এমপি বলেন, ‘রাজশাহীতে নৌকার কান্ডারী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি রাজশাহী আওয়ামী লীগের অভিভাবক ও জনপ্রিয় নেতা। ভোটের মাঠে তার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি প্রচারণায় নামায় প্রতিটি আসনে নৌকার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’

রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নৌকার বিজয় মানে শেখ হাসিনার বিজয়। তাঁর বিজয় মানে বাংলাদেশের বিজয়। এই দেশের বিজয় এবং উন্নয়ন ধরে রাখতে রাজশাহীর ছয়টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প নাই।

ফলে সকল ভেদাভেদ ভুলে রাজশাহী আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীদের ঐকবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের নৌকার পক্ষে ঐকবদ্ধ করতে হবে। সেই চেষ্টাই আমি করে যাচ্ছি। আশা করছি ২০০৮ সালের নির্বাচনের মত এবারো আমরা রাজশাহীর ছয়টি আসনেই বিজয়ী হব।’

বিএ-১১/১৬-১২ (নিজস্ব প্রতিবদেক))