বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করেছেন, প্রতিনিয়তই সরকার দলীয়রা বিএনপিকে সহিংসতায় জড়ানোর উস্কানি দিচ্ছে। নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র করছে তারা। বিএনপি সহিংসতাবিরোধী, তাদের পাতা ফাদে বিএনপি পা দেবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর বিএনপি কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মিনু।
মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। মিনু বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, স্বৈরাচারী সরকারের বিদায় এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আন্দোলনের অংশ এই নির্বাচন।
এই মুহূর্তে দেশে ধানের শীষের যে গণজোয়ার বইছে, তাতে নৌকা ভেসে যাবে। আর এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের কারণে লেবেল প্লেইং ফিল্ড নেই বলে উল্লেখ করেন মিনু।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোহনপুর থানা যুবদলের সভাপতি বাচ্চু রহমানকে কেশরহাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি সাদা মাইক্রোবাসে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় নৌকার ক্যাডার বাহিনী। হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন এবং তার দুই পায়ে একাধিক রাউন্ড গুলি করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একই দিনে বিকেল ৪টার দিকে পবা থানাধীন বড়গাছি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
একই দিন বিকেলে ৪টার দিকে বাগমারার হামিরকুৎসায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু হেনার গণসংযোগ চলাকালে সশস্ত্র হামলা চালায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। তারা প্রার্থীর গাড়ি, নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলসহ ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে। ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় কোন মতে প্রাণ নিয়ে স্থান ত্যাগ করতে সক্ষম হন।
এর আগে ১৮ই ডিসেম্বর দুপুর ২ টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ধানের শীষের কর্মী রেন্টুকে গ্রেফতার করে রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন পুলিশ। গ্রেফতারের আগে তাকে হুমকি দেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আয়েন উদ্দিন।
১৭ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ বিএনপি কর্মী ফরহাদকে ধরে নিয়ে যারার সময় জনতার প্রতিরোধে ছেড়ে দেয়। ওই দিন রাতে মোহনপুরের ধুরোইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীকে র্যাব-৫ পরিচয়ে মোবাইলে হত্যার হুমকি দেয়।
এছাড়া মোহনপুরের মাটিকাটা এবং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকের সমস্ত নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। সরিয়ে দেয় সব ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে মাঠ প্রশাসনের পক্ষপাতি কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি করে বিএনপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নগর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হক তপু প্রমুখ।
বিএ-১৯/২০-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)