নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, মারামারি, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন আরেকটু গরম হয়ে যায়। আর উত্তাপ না থাকলে ভালো লাগে না।
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনে নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় ভোটের মাঠে সহিংসতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, বিচারিক ক্ষমতা কারও নেই। পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীরও নেই। যার হাতে অস্ত্র থাকে তার বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। কারণ এটা বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য স্বরিরোধী। বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে কেউ থাকে না।
যদি কোন অঘটন ঘটে তা হলে সেনাবাহিনী যেমন যে কোনো লোককে গ্রেফতার করতে পারে, সহিংসতা ঘটলে তারা গুলিও চালাতে পারে এবং প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে নির্দেশনা নিতে পারে। আর জানমাল রক্ষায় এমনিতে গুলি চালাতে পারে; গ্রেফতার করতে পারে। এখানে বিচারিক ক্ষমতা মূখ্য বিষয় নয়।
আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিএনপির পুনঃতফসিল দাবির প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম
বলেন, আইনি বিষয় খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
তিনি বলেন, শুধু নারী নয় সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা আমরা নেব।
নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় কমিশনার নুর উর রহমান ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।
বিএ-০৩/২১-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)