রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। আজ তা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার মতো কোনো সুখবর নেই।
এদিকে, কয়েকদিনের আগুনমুখো আবহাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন। ট্যাপ দিয়ে বের হচ্ছে গরম পানি। সূর্যকিরণে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল ওইদিন দেশের সর্বোচ্চ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানায়, তীব্র গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ইনডোরে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়ছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ অবস্থান করছে। এতে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
কিন্তু আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে ২০০৫ সালের ১২ জুন রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২১ মে উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর আর সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা অতিক্রম করেনি বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।
এছাড়া ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে স্মারণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এরপর তাপমাত্রা বাড়লেও এখন পর্যন্ত আর ওই রেকর্ড ভাঙেনি।
বিএ-১৭/২৭-০৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক)