দণ্ডিতরা হলেন- নাটোরের আলাইপুরের খলিলুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে হাবিবা খাতুন (১৮) ও একই উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সুমন হোসেনের মেয়ে মোছা. সুরভী বেগম (১৮)। বিকেলে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মেডিকেল মোড়ের ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আকতারের ভ্রাম্যমান আদালতে নেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আকতার জানান, ইন্টারনেটে অশ্লিলতা ছড়ানোর দায়ে প্রত্যেককে এক মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের এই দণ্ড দেয়া হয়। পরে পুলিশ দণ্ডিতদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়।
জেলা পুলিশের গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক জানান, তিন মাস আগে মেহেদী হাসান এবং ওই দ্ইু তরুণী মেডিকেল মোড় এলাকার মজিবুর রহমানের বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নেন।
সেখানে তার বসবাস করলেও কারো সাথে মিশতেন না। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে বুধবার মধ্যরাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
আবদুর রাজ্জাক আরো বলেন, অশ্লিল ভিডিও চ্যাটিংরত অবস্থায় দুই তরুণীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় এক কাজে ব্যবহৃত ২টি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, ৩৫টি মোবাইল সিম কার্ড এবং ২৫টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানান, ভাইবার, ইমো, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন জনের সাথে অশ্লিল ভিডিও চ্যাটিং করে আসছিলো। বিভিন্ন বিদেশী চ্যাটিং সাইটের সাথেও যুক্ত ছিলেন তারা।
কাছে থাকা মোবাইল নম্বরগুলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যোগাযোগের জন্য। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলেও বিকাশের মাধ্যমে মোটা অর্থ নিয়ে ঘন্টা চুক্তিতে অশ্লিল ভিডিও চ্যাটিং করতেন এরা। দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলে এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছিলো চক্রটি।
চক্রে সুন্দরী নারীদের ভেড়াতে বিজ্ঞতি দেয়ার প্রমাণ পাওয়া তথ্য জানিয়ে আবদুর রজ্জাক বলেন, ‘চ্যাটিং জব’ এর জন্য সুন্দরী নারী খুঁজছিলো চক্রটি। এনিয়ে তারা বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে।
এর একটি কপি ওই ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিনে ১০ ঘন্টা ভিডিও চ্যাটিংয়ের বিনিময়ে মাসে ২৩৮০০ টাকা বেতন দেয়ার লোভনীয় অফার দেওয়া হয়েছে তাতে। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এই পুলিশ কর্তা।
বিএ-১২/০৭-০৫ (নিজস্ব প্রতিবেদক)