রাউধা আতিফের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন চায় ইন্টারপোল

রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মালদ্বীপের নাগরিক মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যুর ঘটনার তিনটি তদন্ত প্রতিবেদক চেয়েছে ইন্টারপোল। ভিসেরা, ময়নাতদন্ত ও সুরুতহাল প্রতিবেদন চেয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এরপরই এই মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র রাজশাহী কার্যালয় থেকে এসব কাগজপত্র তলব করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আমরা রাজশাহী অফিসকে বলছি জরুরী ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত প্রেরণের জন্য। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টারপোল ডেস্কের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চিঠি পেয়েছি।

পিবিআই রাজশহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, রাওধার আত্মহত্যার ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন চেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সেগুলো পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও জানান, পিবিআই তদন্তে রাওধা আত্মহত্যাই করেছিল সেটা পাওয়া যায়। আমরা ইতমধ্যে রাওধার আত্মহত্যার তদন্ত কাজ শেষ করেছি এবং আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। অন্যান্য সংস্থার তদন্ত শেষে পঞ্চমবারের মত এ বিষয়ে তদন্ত কাজ চালাচ্ছিল পিবিআই বলে জানান আবুল কালাম।

মালদ্বীপের নাগরিক রাওধা আতিফ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেলের তার নিজ কক্ষ থেকে রাওধার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর ঘটনা শাহমখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে।

এছাড়াও মালদ্বীপের পুলিশের দুইজন কর্মকর্তা এসে বিষয়টি তদন্ত করেছে। তবে রাওধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ পুলিশের আত্মহতার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজশাহীর আদালত ঘটনাটি তদন্তের জন্য পিবিআই কে দায়িত্ব দেয়।

বিএ-১৬/১৭-০৫ (নিজস্ব প্রতিবেদক)