রাজশাহীতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া

রাজশাহীতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো।

দুপুরে নগরভবনে পৌঁছান রিনা পি সোয়েমারনো ও তার সফরসঙ্গিরা। এসময় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটচন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে নিজ দপ্তরে প্রতিনিধি দলটির সাথে বৈঠকে মিলিত হন লিটন।

ঘন্টব্যাপী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে নগরভবনের সিটি হলরুমে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন মেয়র ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো বলেন, রাজশাহী পরিপূর্ণ নগরী। অন্য যেকোন শহরের তুলনায় এটি আলাদা। শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে রাজশাহীর পরিবেশ চমৎকার।

রাজশাহীর সাথে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও কৃষি ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন হবে। রাজশাহী এবং ইন্দোনেশিয়ার গুরত্বপূর্ণ সিটির মধ্যে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

এ সময় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইন্দোনেশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ইন্দোনেশিয়ার রাজস্বের ২৫ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে। রাজশাহীর পর্যটন খাতের উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনিশয়া।

এসময় মেয়র আরো বলেন, ইন্দোনেশিয়ার যেকোন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিটির সাথে আমাদের সর্ম্পক উন্নয়ন ও পারস্পারিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। এর মাধ্যমে দুই সিটির মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় হতে পারে।

বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকেরা ইন্দোনেশিয়ায় যাবে, ইন্দোনেশিয়া থেকে এখানে আসবে। বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর সিল্কের প্রতি ইন্দোনেশিয়া অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যদি সিল্ক সরবরাহ করতে পারি, তাহলে তারা নেবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।

এদিকে, বৈঠক শেষে নগরভবনের বঙ্গবন্ধুর কর্ণার ঘুরে দেখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরে দেখান। বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বই‘য়ে মন্তব্য লিখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

বিএ-১০/১২-০৬ (নিজস্ব প্রতিবেদক)