নিম্নমানের সরকারি চাল ফেরত পাঠালেন গ্রামবাসী

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে দুই ট্রাক নিম্নমানের চাল ফেরত পাঠিয়েছেন গ্রামবাসী। বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকালে চালভর্তি দুটি ট্রাক গুদাম থেকে বেরিয়ে যায়।

অভিযোগ উঠেছে, নিয়ম ভেঙে তানোরের বাইরের এলাকা থেকে এসব ট্রাক গুদামে আনা হয়েছিল। ট্রাক দুটিতে ২২ টন করে মোট ৪৪ টন চাল ছিল।

তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার দাবিয, তানোরের মাদারিপুর গ্রামের দুটি চাল কল থেকে চাল আনা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য চালগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তানোরের মাদারিপুর এলাকার ‘সরকার চাল কল’ ও ‘করিম চাল কল’ নামে দুটি চাল কলের নামে চালগুলো গুদামে ঢোকানো হচ্ছিল। কিন্তু এ দুটি চাল কল এখন বন্ধ।

গুদাম কর্মকর্তা অনিয়ম করে এ দুটি চাল কলের কাগজপত্রের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরের ‘নজরুল অটো রাইস মিল’ ও নওগাঁর ‘রাকিব চাল কল’ থেকে চাল এনেছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এই চালগুলোও এ বছরের না। পুরনো এসব চাল খুবই নিম্নমানের। চালগুলো কেনা হয়েছিল কম দামেই। অথচ এবার তানোরের সচল বেশকিছু চাল কলের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করা হয়নি। অনিয়ম করে চাল কিনে লাভবান হতো সংঘবদ্ধ একটি চক্র। বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দেন স্থানীয়রা।

জানতে চাইলে ইউএনও নাসরিন বানু বলেন, তিনি সরকারি কাজে ঢাকায় আছেন। তবে ঘটনা শুনেই তাৎক্ষনিকভাবে তিনি চালগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি আরো বলেন, চালগুলো দুটি বন্ধ চালকলের নামে ঢোকানো হচ্ছিল বলে তিনি শুনেছেন। তাই ওই দুই চাল কলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার জন্য তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম দাবি করেন, চাল তানোরের ভেতরের চাল কল থেকেই আনা হয়েছিল এবং সেই কল দুটি সচল। তবে এবার অচল কিছু চালকলের সঙ্গে চুক্তি না করার কারণে তারা এই ঝামেলাটা বাঁধিয়েছে। চাল কেনায় অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

বিএ-১৮/১৯-০৬ (নিজস্ব প্রতিবেদক)