রাজশাহীতে তিন মাসে ৯৫ নারী ও শিশু নির্যাতিত

পানীয়র সঙ্গে মাদক

রাজশাহীতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা। যৌতুক, শ্লীলতাহানী, আত্মহত্যা প্ররোচণা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও অপহরণের মতো অপরাধ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। মাদকের কারণে যুবসমাজের মধ্যে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। এ ধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন পুলিশও।

রাজশাহী জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে অপহরণ হয়েছে ৮টি, যৌতুকের মামলা ৩টি, শ্লীলতাহানী ৪টি ধর্ষণের চেষ্টা ১টি ও ধর্ষণ মামলা ২টি।

মে মাসের চিত্র আরও ভয়াবহ। জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ৪২টি। এর মধ্যে ধর্ষণ ১০টি, অপহরণ ৯টি, ধর্ষণের চেষ্টা ৯টি, শ্লীলতাহানী ৩টি যৌতুক ১০টি ও আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা ১টি।

জুন মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে যৌতুক ৭টি, শ্লীলতাহানী ৩টি, অপহরণ ১১টি, ধর্ষণের চেষ্টা ৮টি ও ধর্ষণ ৬টি।

বিশেজ্ঞরা বলছেন, নারী-শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়বে। সামাজিক এসব অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকীয়াকে উৎসাহিত করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। মাদকের কারণেও নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন করতে এনজিওর মাধ্যমে কাজ করছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বিএ-১৪/২৮-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক)