অপহরণ নয়, প্রেমিকের সাথে ঘরছাড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী

অপহরণের শিকার হয়নি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সংখ্যালঘু তরুণী সাথী কুমারী (১৫)। বিয়ের পিঁড়িতে না বসতে প্রেমিক টুটুলের সাথে ঘর ছেড়েছিলো সে।

সাথী কুমারী উপজেলার কায়ামাজমপুর মন্ডলপাড়ার আনন্দ মন্ডলের মেয়ে । কায়ামাজমপুর উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। কলেজ পড়ুয়া টুটুল একই গ্রামের ফেরদৌস আলীর ছেলে।

জানা গেছে, চার বছর ধরে ওই তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে টুটুলের। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় দুই পরিবারের আপত্তি রয়েছে এই সম্পর্কে।

মেয়েকে ফেরাতে সম্প্রতি অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন বাবা। আগামী ২৬ আগস্ট বিয়ে হবার কথা। এরই মধ্যে হয়ে গেছে আর্শিবাদ।

নিরুপায় তরুণী সোমবার বেলা ৩টার দিকে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ে। এর প্রায় ৬ ঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে উপজেলার পুরাতন তাহিরপুর স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

ওই তরুণীর বাবার অভিযোগ, প্রতিবেশী টুটুল অস্ত্রের মুখে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। যাবার সময় ব্যাপক লুটপাটও চালায় টুটুল। অভিযোগ পেয়ে ওই তরুলীকে উদ্ধারে নামে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরের পর এনিয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি পুলিশ হেফাজতেই আছে। আদালতে এনিয়ে তার জবানবন্দি দেবার কথা।

তিনি আরো বলেন, ওই তরুণীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে, কায়ামাজমপুর গ্রামের মন্ডলপাড়ার বাসিন্দারাও জানিয়েছেন ওই তরুণীর সাথে টুটুলের প্রেমের সম্পর্কের কথা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীও পুলিশকে জানিয়েছে এমন তথ্য। অপহরণ নয়, সে স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সাথে ঘর ছাড়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশকে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই ঘটনায় অপহরণ মামলা হওয়ায় ওই তরুণী আদালতে কী বয়ান দিচ্ছে তার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা।

বিএ-১৩/২০-০৮ (নিজস্ব প্রতিবেদক)