কঠোর নিরাপত্তায় রাজশাহীর সাড়ে ৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

এবার রাজশাহী বিভাগজুড়ে এবার সাড়ে ৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন হচ্ছে। পুরো এই আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। আর এসবের কেন্দ্রে থাকছে পূজামণ্ডপগুলো।

উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব উদযাপনে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। এসব বৈঠক থেকে আয়োজকদের দেয়া হচ্ছে নানান নির্দেশনা।

জানা গেছে, রাজশাহী নগরীতে ৯৯ এবং জেলায় এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ৩৫০টি। এছাড়া নওগাঁয় ৭৮৬টি, চাঁপাইনবানগঞ্জে ১৩৯টি, নাটোরে ৩৭৭টি, পাবনায় ৩৫১টি, সিরাজগঞ্জে ৪৯৪টি, বগুড়ায় ৬৭১টি ও জয়পুরহাটে ২৯২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জেলার আট উপজেলার পূজা আয়োজকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে থানার ওসি ও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলায় এবার ৩৫০টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

অন্যদিকে নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, নগরী এলাকায় এবার পূজা আয়োজন হচ্ছে ৯৯ টি মণ্ডপে। এই উৎসব কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নগর পুলিশ।

বিশেষ করে মণ্ডপগুলোতে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমণ লাইন রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আয়োজকদের। তাছাড়া পূজামণ্ডপে পুরুষ ও মহিলা স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর বাইরে প্রত্যেক মণ্ডপে সকল ধর্মের মানুষের সমন্বয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের আহবান জানানো হয়েছে।

এবিষয়ে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার জানান, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব শেষ করতে আট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও পূজা উৎযাপন কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। তারা নিজ নিজ এলাকার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়া থেকে শুরু করে আট অক্টোবর বিসর্জন পর্যন্ত পূজার সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করবে পুলিশ। পাশাপাশি পূজার চার দিন থাকবেন আনসার সদস্যরা। দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এনিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্বপালন করছেন।

তিনি আরও জানান, পূজা চলাকালীন সময়ে যে কোনো অনিয়ম চোখে পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরার আগে, স্থানীয় পুলিশ বা পূজা উৎযাপন কমিটি অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানানোর পরামর্শ দেন।

বিএ-১৫/১৮-০৯ (নিজস্ব প্রতিবেদক)