টাকা পাচারের চেয়ে বড় অপরাধ ভোট ডাকাতি: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, টাকা পাচারের চেয়ে বড় অপরাধ ভোট ডাকাতি। গেলো নির্বাচনে কোট ডাকাতি করে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

রোববার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্যদানকালে এই মন্ত্য করেন ফখরুল। শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় আয়োজিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্যাসিনো তো ক্যাসিনোই! গত এক বছরে দেশ থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে সুইস ব্যাংকে গেছে। এটি মামুলি অপরাধ। তার চেয়ে বড় অপরাধ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া। গত নির্বাচনে ভোটের নামে এই প্রহসন হয়েছে।

কারাবন্দি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন ফখরুল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার জন্য, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, বার বার দেশের মানুষকে নিয়ে সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু গত ১৮ মাস ধরে তাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকষ্টে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।

বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া এখন এতো অসুস্থ্য যে হেটে বাথরুমে যেতে পারেননাম, খাবার টেবিলে যেতে পারেনান। তাকে দুজন মিলে ধরে নিয়ে যেতে হয়। পরিবারের সদস্যদের সাথেও দেখা করতে দেয়া হয়না। বন্দি করে, দমনপীড়ন করে জনগণের আন্দোলন ঠেকানো যাবেনা।

ক্যাসিনো কাণ্ডে তারেক রহমানকে জড়িয়ে দেয়া তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ত্যথমন্ত্রী নতুন নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন। ক্যাসিনোর টাকা না-কি প্রতি মাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে যায়! কি বিশ্লেষন তার, ক্রিয়েটিভ তথ্যমন্ত্রী। তিনি এই তথ্য আবিস্কার করেছেন।

ফখরুল দাবি করেন, এমন কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা। আপনাদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। আপনাদের চুরি-ডাকাতি প্রকাশ হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাশীনরা জনগণকে বোকা বানিয়ে, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিচ্ছে।

ফখরুল বলেন, গত নির্বাচনের আগে ও পরে ২৬ লাখ লোককে আসামী করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে এক লাখ মামলা। একশ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি সাতশ জন অজ্ঞাতনামা! বিএনপির সকল নেতাকর্মীর নামে মামলা।

যে মানুষ কোর্টর বারান্দা চিনতেন না তাকেও মামলায় আসামী করা হয়েঠেছ। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। এখন জনগণকেব ফিরিয়ে দিন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের দল। আমরা মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে টাই। এসময় বেগম জিয়ার মুক্তিসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দাবি করেন ফখরুল।

নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমমুদ টুকু, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপার্নের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু প্রমুখ।

বিএ-১৫/২৯-০৯ (নিজস্ব প্রতিবেদক)