রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলায় গ্রেফতার আরও ৪

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের আরও চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এরা হলো- রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়া মহল্লার বাহারাম বাদশার ছেলে মাহাবুব হোসেন (১৯), একই এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে নাঈম ইসলাম (১৯), নূর হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন শিপন (২০) এবং শিরোইল কলোনি এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে নাইমুজ্জামান (১৯)। সবাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস মঙ্গলবার দুপুরে এদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

প্রসঙ্গত, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্মসম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে গত ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করে ওই রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়। হয়। গত ৭ নভেস্বর কমিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একইসঙ্গে রাজশাহী পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

বিএ-১১/১২-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)