রাজশাহীতে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান পরে হত্যা

রাজশাহীতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গরুর মালিককে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করে। পরে তাদেরকে চেনা ফেলার ভয়ে তারা মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গরুগুলো নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঘটনার চার দিন আগে হত্যার পরিকল্পনা করে গরু চুরি করার পরিকল্পনা করে হত্যাকারীরা। এরপর ঘটনার দিন ৪ তারিখ দিবাগত রাতে গরু চুরির সময় মালিককে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে। এরপর মালিক অচেতন হয়ে যায় কিন্তু তাদেরকে চেনা ফেলার ভয়ে তারা মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গরু গুলো নিয়ে যায় হত্যাকারীরা একটি বড় গরুগুলো নিয়ে যায় পুলিশ প্রথমে চুরি এবং বিক্রির সাথে জড়িত ৫ জনকে আটক করে এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে আরো তিনজনকে আটক করে এই ঘটনায় মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুর রহমান বাবু, হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার হারুন এর ছেলে রবিউল ইসলাম, মৃত আছির উদ্দিন এর ছেলে আব্দুস সামাদ জাবেদ আলীর ছেলে আবুল কাশেম, নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার আলীর স্ত্রী আশুরা বেগম এবং এবং তার সাথে সরাসরি জড়িত নগরীর দাসপুর এলাকার ফাইনাল মিলের ছেলে আরিফুল ইসলাম, বহরমপুর এলাকার তাহসানের ছেলে মিলন এবং রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে জিন্দার আলী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটকের মধ্যে দুইজন মালিক আব্দুল মজিদের কর্মচারী ছিলেন এর মধ্যে একজন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রয়েছেন এবং অন্যজন একটি বাসের সুপারভাইজার। আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি তিনজনকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আরএমপির বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আব্দুর রশিদ, রাজপাড়া থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবুল ইসলাম ও থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান প্রমুখ।

বিএ-০১/০৯-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)