মানবতার ফেরিওয়ালারা নেমেছেন রাস্তায়!

করোনা আতঙ্কে যেন থমথমে রাজশাহী। সরকারের আহবানে চলছে অঘোষিত লকডাউন। আতঙ্কে কেবল দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আর যারা খেটে খান, তারাও যেন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে যেন দিন পার করা তাদের কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে এসবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমেছেন অনেকেই।

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ রাজনৈতিক নেতারাও নেমেছেন রাস্তায় খাওয়া মানুষদের পাশে জানতে। পাশাপাশি মানবতার এই ডাকে রাস্তায় নেমেছেন বিত্তবানরাও।

মানবতার ডাকে সাহায্যের হাত বাড়ানো এসব মানুষদের নিয়ে অনুপ্রেরণা যোগাতে সিলসিটিনিউজও ধারাবাহিক আয়োজন করছে ‘রাজশাহী মানবতার ফেরিওয়ালা।’

প্রিয় পাঠক আপনার আশেপাশে এরকম মানবতার ডাকে সাড়া দেওয়া মানুষদের নিয়ে আমাদের কাছে লেখা পাঠান বা নিজেদের এসব কার্যক্রমগুলো লিখে পাঠান আমাদের ফেসবুক পেজে অথবা মেইলে। আমরা অনুপ্রেরণা যোগাতে প্রতিদিন আপনাদের এসব লিখা তুলে ধরবো। আজকের মানবতার ফেরিওয়ালা যারা তাদের নিয়ে লিখা-

ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ কবির তার ফেসবুকে লিখেন, ক্ষুদ্র পরিসরে শুভাকাঙ্ক্ষী ও কাছের মানুষের সহযোগিতায় লক ডাউন পরিস্থিতিতে যাদের আয় রোজগার কমে গেছে তাদের উদ্দেশ্যে ১ম পর্যায়ের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য (চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, সাবান) বিতরণ আজ শুরু করলাম। সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে গাড়ি নিয়ে ঘুরে ঘুরে উপযুক্ত মানুষদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।অন্যদেরকে উৎসাহিত করার জন্য জাস্ট শেয়ার করা।’

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ হবিবুবর রহমান তার ফেসবুকে লিখেন, সম্মানিত সহকর্মীবৃন্দ, আপনারা অবগত আছেন বিশ্বময় করোনা ভাইরাসের ঢেউ বাংলাদেশেও আছড়ে পড়েছে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলতে হচ্ছে। এ অবস্হায় শ্রমজীবী মানুষের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নানানবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। রাজশাহী কলেজ শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ৪০০০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।

চলমান পরিস্থিতির কারণে সভা ডাকা সম্ভব নয় বলে সম্মানিত উপাধ্যক্ষ, প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক এবং প্রফেসর পিযুষ কান্তি ফৌজদার, সম্মানিত সম্পাদক,শিক্ষক পরিষদ- এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। মানবতার সেবায় রাজশাহী কলেজ কখনও পিছুপা হয় না, সেটি নিশ্চয়ই সার্ধশত এ কলেজের চিরায়ত ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ।

বিএ-১৮/২৮-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)