রাজশাহীর দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬৫ জন

রাজশাহীর দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬২৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১০১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সবগুলো ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি নেতারাও। মনোনয়ন পেয়েও জমা দেননি গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।

গোদাগাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৮ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদে ১০৪ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩৩৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মাসুদুল গণি, স্বতন্ত্র রুহুল আমিন, যুবদল তৌহিদুল ইসলাম, মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত খাইরুল ইসলাম, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জনি, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, আবু বাক্কার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী ও রাজু আহমেদ।

পাকড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত জালালউদ্দীন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিন্নাত আলী ও বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম। রিশিকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শহিদুল ইসলাম টুলু, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোখলেসুর রহমান মুকুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন।

গোগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টি মনোনীত নিজামউদ্দীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হযরত আলী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বিপ্লব। মাটিকাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানে আওয়ামী লীগ মনোনীত শহিদুল করিম শিবলী, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল রানা, মাসাউল করিম ও যুবলীগ নেতা আসরাফুল ইসলাম। দেওপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বেলালউদ্দীন সোহেল, স্বতন্ত্র উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দীন বাবু ও মাসুদ ইকবাল।

বাসুদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বেবী, ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান ডালিম ও আবদুর হান্নান। আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ আলী চাঁদ, আসরাফুল ইসলাম ভোলা, যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি মনোনয়ন দাখিল করেননি।

রাজশাহীর তানোরে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রবিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং ৯ জন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

উপজেলার ৭ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী ১৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কলমা ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত আহসানুল হক স্বপন ও বিদ্রোহী এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর চাচাতো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ন সহ-সভাপতি খাদেকুন্নবী বাবু চৌধুরী, বাধাঁইড় ইউপিতে দলের মনোনীত আতাউর রহমান এবং বিদ্রোহী গোলাম মোস্তাফা ও যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, পাঁচন্দর ইউপিতে দলের আবদুল মতিন, বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর ভাই শরিফুল ইসলাম, সরনজাই ইউপিতে দলের মনোনীত আবদুল মালেক ও বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদ, তালন্দ ইউপিতে দলের মনোনীত আবুল কাশেম এবং বিদ্রোহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বাবু ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রইস উদ্দিন বাচ্চু, কামারগাঁ ইউপিতে দলের মনোনীত ফজলে রাব্বি ফরাদ এবং বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন। চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে দলের মনোনীত মজিবুর রহমান ও বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

তানোরের ৭টি ইউপিতে ১১ বিএনপি নেতা ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরা হলেন কলমা ইউপিতে থানা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক ও যুবদলের সদস্য রায়হান আলী, বাধাঁইড় ইউপিতে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বর্তমান কামরুজ্জামান হেনা, পাঁচন্দর ইউপিতে সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোমিনুল হক মমিন, সরণজাই ইউপিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, কামারগাঁ ইউপিতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান, অপর গ্রুপের সভাপতি প্রভাষক জাইদুর রহমান জাহিদ ও যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন এবং চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান রিমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তানোরের তালন্দ ইউনিয়নে জামায়াত নেতা আক্কাশ আলী প্রার্থী হয়েছেন। এই ইউনিয়নে বিএনপির কোন নেতা প্রার্থী না হলে আক্কাশ আলীকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়াও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৫২৫ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৬৭৫ জন তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এসএইচ-২৭/১৭/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)