ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মেয়র লিটন

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বর্ণিল আয়োজনে বরণ ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ার পর শনিবার সকালে নগর ভবনে আসেন সিটি মেয়র। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে আনুষ্ঠানিভাবে বরণ করে নেন। এরপর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। নগর ভবনের প্রধান ফটকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পর গান আর নৃত্যের তালে তালে নগর ভবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় সিটি মেয়রকে।

এরপর মেয়র দপ্তরকক্ষে সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। সচিবালয় বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ, হিসাব বিভাগ, পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও সকল শাখার কর্মকর্তা-কমচারীরা পৃথক পৃথকভাবে সিটি মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম দল। দলটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে সারাদেশে আনাছে কানাছে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিতে জাতির পিতা দলটি তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন, তাঁরই কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে আজকে আরো শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হয়তো উত্তরাঞ্চলের নেতৃত্বের শূণ্যতা পূরণ করায় জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত করেছেন। আমি দলীয় সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি আরো বলেন, আমার পিতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদে ছিলেন। স্বাধীনতার পূর্বে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৪ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার পিতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান অনেক উপরে যেতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে পুরো উত্তরাঞ্চসহ দেশের অনেক জায়গার মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে এক হাজার কোটি টাকার কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আরো অনেক কাজ বাকি আছে, সেগুলো করতে হবে। নগরীতের প্রশস্ত সড়ক, ওয়ার্ডের অলি-গলি-পাড়ায় মহল্লায় রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রাজশাহী হবে দেখার মতো একটি শহর।

তিনি আরো বলেন, গতকাল রাজশাহীতে শিক্ষামন্ত্রী এসেছিলেন। রাজশাহীতে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উনার সাথে কথা হয়েছে, এরআগে শিক্ষামন্ত্রীকে ডিও লেটার দেওয়া আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে উনাকে আবারো অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি সেটি বাস্তবায়ন হবে। রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ চলছে, বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ পর্যায়ে। কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের কল্যানে আরো বেশি করে কাজ করার সুযোগ হলো। এ অঞ্চলের উন্নয়ন আরো বেশি তরান্বিত হবে আশা করি।

সভার সঞ্চালনা করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুজ্জামান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ। অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নগর ভবনে দিনভর বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এসএইচ-১১/০৪/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)