নির্যাতনের পর মাদ্রাসাছাত্রীকে তিনতলা থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ

রাজশাহী মহানগরীর একটি মহিলা মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে নির্যাতন করে তিনতলা থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে চিকিৎসা না দিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে তিন ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে গুরুতর আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।

শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার কামাল খাঁ রোডে তাহফিজুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রীর নাম হালিমা খাতুন (৯)। সে মহানগরীর শ্রীরামপুর নদীর ধার এলাকার রিকশাচালক মো. বাদশা আলীর মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী জুয়েল, আলামিনসহ ভাটাপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, বেলা ১১টায় ওই ছাত্রী তৃতীয় তলার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনতলা থেকে কয়েকজন মহিলা তড়িঘড়ি করে নেমে এসে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে মেডিক্যালের দিকে যেতে দেখেছেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুরুতর আহত ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে ওই শিক্ষকের কক্ষে (মাদ্রাসা কক্ষের পাশের কক্ষ) নিয়ে এসে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

পরে খবর পেয়ে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খুলে দিতে বলে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ ওই কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে দরজা খোলার অনুরোধ জানালেও শিক্ষক জাকিয়া দরজা খুলে দেয়নি। পরে পুলিশ দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মাদ্রাসার এক ছাত্রী তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছে বলে খবর পাই। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) কাজলকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠাই। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর দরজা ভেঙ্গে আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এসএইচ-১৮/০৪/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)