ধর্ষণের ঘটনা চাপা রেখেও সংসার করা হলো না কিশোরীর

ধর্ষণের শিকার হয়েও ঘটনাটি চেপে গিয়েছিলেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী গৃহবধূ। প্রাণনাশের হুমকি এবং সংসার টেকাতেই এই কাণ্ড ঘটান ভুক্তভোগী কিশোরী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘটনা জেনে যান স্বামী, ভেঙে যায় তার সংসার।

ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি উপজেলার অমৃতপুর এলাকায়। নয় মাস আগে পারিবারিকভাবে তানোর উপজেলার হরিপুর এলাকায় তার বিয়ে হয়।

গত ২৪ জুন দুপুরের দিকে তার স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী আবদুল হান্নান (৩৫) বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি করলে হত্যার হুমকিও দেন আবদুল হান্নান। ধর্ষণের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ওই কিশোরী। স্বামীর জেরার মুখে চার দিন পর ২৮ জুন পুরো ঘটনা খুলে বলেন। এর পরই স্বামী তাকে তালাক দেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

ওই রাতেই অভিযুক্ত আবদুল হান্নানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত আবদুল হান্নান হরিপুরের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। প্রতিবেশী ওই গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন আবদুল হান্নান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ওই গৃহবধূ। ২৮ জুন সকালে তার স্বামী বাবাকে ফোন করে ধর্ষণের ঘটনা জানান। এ ঘটনার জেরে ধর্ষক আবদুল হান্নানকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তানোর থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন।

তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামি আবদুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-১৬/০১/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)