থানায় থানায় ঘুরে ব্যর্থ বাবা, মেয়েকে উত্ত্যক্তের বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় থানায় থানায় ঘুরেও অভিযোগ দিতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী ও রাজশাহী সিটি মেয়রের (নগরপিতা) কাছে বিচারের দাবি জানিয়েছেন এক অসহায় বাবা।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বর্ষা রানি শাহা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশন এলাকার রুহুল আমিন সরকার, ইরফান খান মেরাজ, রবিন, বেনজির ফরহাদ, আখের, মামুনসহ কয়েক বখাটে দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে প্রাইভেটে যাওয়ার পথে বখাটেরা তাকে অশ্লীল কথা বলে। ওইদিন সন্ধ্যায় তার বাবা নীল মাধব শাহা এর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তার কাছে চাঁদা দাবি করে তারা। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বখাটেরা।

ওই কলেজছাত্রী বাবা নীল মাধব শাহা জানান, মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও তার ওপর হামলার ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা তা গ্রহণ না করে জিআরপি থানায় যেতে বলে। পরে জিআরপি থানায় গেলে তারা তাকে মতিহার থানায় যেতে বলে। থানা পুলিশ ঘুরে কোনো সুরাহা না পাওয়ায় তিনি ন্যায়বিচারের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং নগরপিতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও প্রভাবশালী। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগ না নেয়ার বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘রেল স্টেশনের ঘটনা এটি। আমি জিআরপি থানায় কথাও বলেছি। আমার থানাধীন ঘটনা যেহেতু নয়, তাই আমি অভিযোগ নিইনি।’

এদিকে রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকার বলেন, ‘ঘটনাটি মতিহার থানা এলাকায় ঘটেছে। তাই মতিহার থানায় অভিযোগ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিআরপি থানা মূলত ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে। রেল স্টেশনে জিআরপি থানা পুলিশ ডিউটিও করে না। সুতরাং এটার দেখভাল মতিহার থানা করবে।’

এসএইচ-১২/১৭/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)