রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী নীতি নির্ধারণী বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ জুন) শেষ দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ এ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় “কো-ক্রিয়েট ২০৭১” নামে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
দুইদিন ব্যপী এই কর্মশালাটির প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল “জননীতি” এবং দ্বিতীয় দিনের বিষয়বস্তু ছিল “গণতান্ত্রিক মনোভাবের বিকাশ”।
এই প্রোগ্রামটির অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বর্তমানের তরুণসমাজ, যারা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক, তাদেরকে ধারণার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা এবং নতুন নতুন পলিসি নির্ধারণে নিযুক্ত করা।
প্রথমদিনের সেশনটি পরিচালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাব্লিক এ্যাডিমিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে ও বরেন্দ্র যাদুঘরের চিফ কন্সারভেটিভ অফিসার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। এদিন একটি সেশনের মূখ্য বক্তা ছিলেন সচেতন সোসাইটি রাজশাহীর প্রজেক্ট অফিসার মাহমুদ-উন-নবী।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের সংস্কৃতি সেটাই যা আমরা ধারণ করি এবং বহন করি। আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের পরিচয় এবং পরিচয়ের অংশ। তাই আমাদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে কিভাবে আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে কে আমরা ধরে রাখতে পারি এবং একইসাথে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারি।
দ্বিতীয় দিন মূল সেশন পরিচালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট সমাজ গবেষক আহমেদ শফীউদ্দীন।
কর্মশালায় কন্টেন্ট ক্রিয়েশন নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন কন্টেন্ট এক্সপার্ট আসাদুর রহমান।
এছাড়াও দুইদিনব্যপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন প্রেনিউর ল্যাবের হেড অফ অপারেশন্স আশরাফুল তানভীর।
তিনি কর্মশালাটি সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং একটি পলিসি নির্ধারণী কর্মশালা পরিচালনা করেন। বিষয়বস্তু ভিত্তিক এবং প্যানেল সেশন ছাড়াও এই কর্মশালাটিতে ছিল দলগত কাজ সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে চলমান বিবিধ সমস্যাবলির সম্পর্কে অবগত হন এবং এইসমস্ত সমস্যার সমাধানকল্পে নতুন নতুন পলিসির সুপারিশ করেন।
এআর-০৪/০৭/০৬ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)